Contents
কম্পিউটার প্রজন্ম কি?
কম্পিউটার জেনারেশন বা প্রজন্ম বলতে প্রযুক্তিগত বিবর্তনকে বুঝায়। কম্পিউটার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বর্তমান পর্যন্ত এসেছে। পরিবর্তন বা বিকাশের একেকটি ধাপকে একেকটি প্রজন্ম বলা হয়।
কম্পিউটারের জেনারেশন: কম্পিউটারের জেনারেশন কে ৫ টি পর্যারে ভাগ করা যায়। যেমন-
১) প্রথম প্রজন্ম (১৯৪৬-১৯৫৯)
২) দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫
৩) তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১
৪) চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-বর্তমান)
৫) পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার)
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ
এই পর্যায়ের কম্পিউটারে ভ্যাকুয়াম টিউব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ
ভ্যাকুয়াম টিউববিশিষ্ট ইলেকট্রনিক বর্তনীর ব্যবহার হয়।
সীমিত ডেটা ধারণক্ষমতা।
বিশাল আকৃতির ও সহজে বহন-অযোগ্য।
পাঞ্চকার্ডের উপযোগী ইনপুট-আউটপুট সরঞ্জাম।
রক্ষণাবেক্ষণে বড় অসুবিধা।
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ: IBM 704, IBM 709, ENIAC, EDVAC, EDSAC ইত্যাদি।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ
এই প্রজন্মের কম্পিউটারে ভ্যাকুয়াম টিউবের চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি হিসেবে ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ
এই প্রজন্মের কম্পিউটারে ট্রানজিস্টর ব্যবহার হয়।
চুম্বকীয় কোর মেমরি।
উচ্চগতিবিশিষ্ট ইনপুট-আউটপুট সরঞ্জাম।
এই প্রজন্মে ফরট্রান ও কোবলসহ উচ্চতর ভাষার উদ্ভব।
আকৃতির সংকোচন।
তাপসমস্যার অবসান।
কম্পিউটারের গতি ও নির্ভরযোগ্যতার উন্নতি।
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ: IBM 1400, IBM 1620
তৃতীয় দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ-
এই প্রজন্মে ট্রানজিস্টরের চেয়ে উন্নত প্রযুক্তি হিসেবে আইসি- IC (Integrated Circuit) বা সমন্বিত বর্তনী ব্যবহার করা হয়।
বৈশিষ্ট্যঃ
ইনটিগ্রেটেড সার্কিটের ব্যবহার হয়।
সেমিকন্ডাক্টরের ব্যবহার শুরু হয়।
আকৃতির সংকোচন ও অধিক নির্ভরশীলতা।
একই সময়ে একাধিক ব্যবহারকারীর ব্যবহারের সুবিধা।
হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যাপক প্রচলন হয়।
মিনি কম্পিউটারের প্রচলন হয়।
তথ্য সংরক্ষণের জন্য magnetic disk ব্যবহার শুরু হয়।
আউটপুট হিসেবে VDU (Video Display Unit) ও উচ্চগতির লাইন প্রিন্টারের প্রচলন শুরু হয়।
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ: IBM 360, IBM 370
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ
চতুর্থ প্রজন্মে ভিএলএসআই-VSLI (Very Large-Scale Integration) প্রযুক্তির মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়। OOP -Object Oriented Programming এবং উন্নত প্রোগ্রামিং ভাষার ব্যবহার। অপারেটিং সিস্টেম এবং মেমরি’র বৈপ্লবিক উন্নতি সাধন।
বৈশিষ্ট্য:
মাইক্রো প্রসেসরের উদ্ভব হয়।
দামের নিম্নগতি কিন্তু ক্ষমতা বেশি।
সরাসরি প্রোগ্রাম প্যাকেজ প্রয়োগের সুবিধা।
টেবিলের ওপর রেখে সাচ্ছন্দ্যে কাজ করার সুবিধা।
এই প্রজন্মে সাধারণ মানুষের জন্য ব্যবহারের সুবিধা হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ: IBM 3033, IBM PC
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যঃ
ব্যবহৃত প্রযুক্তি হচ্ছে SVLSI Super Very Large-Scale Integration প্রযুক্তির মাইক্রোপ্রসেসর। এবং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI-Artificial Intelligence এর ব্যবহার।
বৈশিষ্ট্য:
এই প্রজন্মে (AI) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হয়।
অধিক সমৃদ্ধশালী মাইক্রো প্রসেসরের ব্যবহার হয়।
বর্তনীগুলোয় অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার হয়।
কণ্ঠস্বরের মাধ্যমে প্রদত্ত নির্দেশের অনুধাবন করা যায়।
এই সময় সুপার কম্পিউটারের ব্যাপক উন্নয়ন হয়।
ডেটা ধারণক্ষমতার ব্যাপক উন্নতি হয়।
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের উদাহরণ: IBM SP/2, PARAM 1000 প্রভৃতি পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার।
কম্পিউটারের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।