Contents
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত। সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০:৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত করা হয় ।
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের কেন্দ্রে রয়েছে পানিতে ভাসমান একটি শাপলা ফুল। শাপলা ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় পাটগাছের পরস্পরযুক্ত তিনটি পাতা এবং পাতার উভয় পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। পানি, ধান ও পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি। এ তিনটি উপাদানের উপর স্থাপিত জলজ প্রস্ফুটিত শাপলা হলো অঙ্গীকার, সৌন্দর্য ও সুরুচির প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকের রূপকার ছিলেন কামরুল হাসান।
বাংলাদেশ সরকারের সীলমোহর
বাংলাদেশের প্রথম পতাকার নকশার মত করে এই সিলটি তৈরী করা হয় যা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকলীন সময়ে ব্যবহৃত জাতীয় পতাকার বৃত্তাকার সংস্করণ করা হয়। নকশার বাইরের সাদা অংশটির উপরে বাংলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এবং নিচে সরকার লেখা এবং দুইপাশে দুইটি করে মোট চারটি লাল ৫ কোণা বিশিষ্ট তারকা।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন
এটি ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় অবস্থিত। জাতীয় সংসদ মূল স্থপতি হল প্রখ্যাত মার্কিন স্থপতি লুই আই কান। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এগারোটি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের অধিবেশনগুলি অনুষ্ঠিত হয় পুরনো সংসদ ভবনে, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশের জাতীয় স্মৃতিসৌধ
জাতীয় স্মৃতিসৌধ এটি ঢাকা সাভারে অবস্থিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান শহীদদের ত্যাগ ও শৌর্যের স্মৃতি হিসেবে সৌধটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত বেসামরিক বাঙালি ও অবাঙ্গালিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি স্মারক স্থাপনা। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এর নকশা প্রণয়ন করেছেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত
আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। বঙ্গমাতা সম্পর্কে এই গাঁথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক ১৯০৫ সালে রচিত হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে ১৮৯৯–২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) রাঢ় বাংলায় জন্ম নেওয়া একজন বাঙালি কবি এবং পরবর্তী কালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য এবং তিনি ছিলেন বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন।
বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগীত
‘বাংলাদেশের দুরন্ত সন্তান আমরা দুর্দম দুর্জয়’। বাংলাদেশের ক্রিড়া সংগীতের গানের কলি বাংলার দুরন্ত সন্ধ্যায় আমরা দুর্দম দুর্জয় বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগীতের রচয়িতা ছিলেন সেলিমা রহমান এবং সুরকার খন্দকার নূরুল আলম। সংগীতটি দশ চরণ বিশিষ্ট।
বাংলাদেশের অন্যান্য জাতীয় বিষয়াবলী
১. বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের নাম কি?
উত্তরঃ শাপলা।
২. বাংলাদেশের জাতীয় পশুর নাম কি?
উত্তরঃ রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
৩. বাংলাদেশের জাতীয় বনের নাম কি?
উত্তরঃ সুন্দরবন।
৪. বাংলাদেশের জাতীয় মাছের নাম কি?
উত্তরঃ ইলিশ।
৫. বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের নাম কি?
উত্তরঃ বায়তুল মোকাররম।
৬. বাংলাদেশের জাতীয় বিমানবন্দর নাম কি?
উত্তরঃ হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
৭. বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর কোনটি?
উত্তরঃ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর।
৮. বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান কোনটি?
উত্তরঃ ভাওয়াল ন্যাশনাল উদ্যান।
৯. বাংলাদেশের জাতীয় গাছের নাম কী?
উত্তরঃ আম গাছ।
১০. বাংলাদেশের জাতীয় কবির নাম কি?
উত্তরঃ কাজী নজরুল ইসলাম।
১১. বাংলাদেশের জাতীয় শিশুপার্ক কোনটি?
উত্তরঃ ঢাকার শিশু পার্ক (শহীদ জিয়া শিশু পার্ক নামে পরিচিত)
১২. বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার কোনটি?
উত্তরঃ সুফিয়া কামাল জাতীয় গণ গ্রন্থাগার, ঢাকা।
১৩. বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কোনটি?
উত্তরঃ হা-ডু-ডু বা কাবাডি।
১৪. বাংলাদেশের জাতীয় ফল কোনটি?
উত্তরঃ কাঁঠাল।
১৫. বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব কোনটি?
উত্তরঃ বাংলা বর্ষবরণ উৎসব।
১৬. দেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা কোথায় অবস্থিত?
উত্তরঃ রাজধানী ঢাকার মিরপুরে